ভাটারাতে দের বছর ধরে এক দূরসম্পর্কের ভাগ্নিকে ধর্ষণ করছে লম্পট রফিক
ক্রাইম ওয়াচ ডেস্কঃ রাজধানির ভাটারা থানার কুড়িল বিশ্বরোডের কাজী বাড়ি রোডের সারসিনা কালার ব্যাংকের মালিক রফিকুল ইসলাম(৪৮) দের বছর ধরে এক দূরসম্পর্কের ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। একপর্যায়ে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়ে হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। এমন অভিযোগ করে দূরসম্পর্কের মামার বিরুদ্ধে গতকাল রাতে আলজাজিরা বাংলা ও রিপোর্টাস সোসাইটি বরাবর অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা ভাগ্নি। রফিকুল ইসলাম একটি রং কোম্পানির মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ দায়েরের জন্য আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তার অভিভাবকরা। ইতিমধ্যে ভাটারা থানায় এক্টি অভিযোগ ও জীডি এন্ট্রি করেছেন ধর্ষিতা নারি । উক্ত অভিযোগ তদন্ত করছেন এস আই শামিম,তিনি অভিযোগের ব্যাপারে জানান খুব সতর্কের সাথে বিষয়টি গুরুত্ত দিয়ে দেখছেন এবং তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন আমাদের ডিসি মহোদয় এসব ব্যাপারে খুবই কঠোর এবং তার আওতাধিন এলাকায় অন্যায়,অবিচার,পাপ করে কেউ রেহাই পাবে সেটা ভুল কোন ক্ষমতায় আইনকে ধামিয়ে
রাখতে পারবেনা । অভিযোগে উল্লেখ করেন মেয়েটি , রফিকুলের রংয়ের কোম্পানিতে তার আপন বড় ভাই চাকরি করতো সেই সুবাদে তাকেও ঐ কোম্পানিতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নিয়ে দেই তার ভাই । চাকরির প্রথম মাসেই তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক করতে চায় রফিকুল পরে মেয়েটি মামা ভাগ্নির সম্পর্ক টানতেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় আর বলে তুমি তো আর আমার আপন ভাগ্নি না , আমি তোমাকে বিয়ে করবো । উল্লেখ্য যে মেয়েটির এক্টি দূর্বলতা থাকে সে এর আগে বিবাহিত ছিল এবং তার এক্টি সন্তানও আছে সেই স্বামির সাথে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায় পরবর্তিতেই সে এই চাকরিটি নেয় । আর এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়েই লম্পট রফিকুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও করে রাখে এরপর থেকেই তাকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন শারিরিক ভাবে মিলিত হতে থাকে এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্তা হয়ে গেলে তাক ঔষধ খাইয়ে গর্ভপাত করিয়ে ফেলেন রফিকুল । সর্বশেষ গত মাসের শেষের দিকে অফিসিয়াল কাজের কথা বলে কক্সবাজার নিয়ে গিয়েও ধর্ষন করে রফিকুল ইসলাম । সেখানে এক্টি হোটেলে তারা উভয় স্বামি স্রী পরিচয় দিয়ে রুম নিয়ে থাকেন । মেয়েটি যখন বিয়ের জন্য রফিকুলকে বলে তখন সে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেরে দেওয়ার কথা বলে ফোনে হুমকি ধামকি দিতে থাকে । মেয়েটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে জানা গেছে, রফিকুলের এই নির্যাতনের কথা মেয়েটির বড় ভাই জানলেও কিছুই করতে পারেননি। দু-একবার চেষ্টা করলেও তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিতেন রফিকুল। এ ঘটনা সম্পর্কে রফিকুলের সঙ্গে তাঁর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। মেয়েটির নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপির কমিশনারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে নিরাপত্তা চাইলে আমরা অবশ্যই দেব।’ মামলা দায়েরের পর রফিকুলকে আইনের আওতায় আনা হবে । সচেতন মহলের দাবি এই নরপশুকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।