top of page

চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক গৃহিনী। আদালত মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নুরুন নাহার নাছিমা বেগম।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার এএসআই শাহীন, দ্বীন ইসলাম, এএসআই আব্দুর রহিম, জৈনিক জাহানারা রশিদ, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কাইচার ও শুকুর আলী।

এ ছাড়া মামলায় বাড্ডা থানার তিন কনস্টেবলসহ সিভিল পোশাকের আরও অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানাগেছে , গত ১০ মে ওসির আদেশে আসামিরা বাদীর বাসায় এসে তার ছেলেকে আসামী জাহানারা রশিদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলে। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় আসামীরা তার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে, বাসায় ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার এবং জমির কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামীরা বাদীর ছেলেকে হত্যার হুমকিও দেয়।

মামলার নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ মে আসামী এমএ জলিলের আদেশে অন্য আসামীরা বাদীর বাসার ভাড়াটিয়াকে বের করে ফ্লাটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। পরে চাবি ফেরত চাইলে বাড্ডা থানার এএসআই আব্দুর রহিম দুই লাখ টাকা দাবি করে সরাসরি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। না দিলে বিপদে পড়ার হুমকিও দেন তিনি।

জিম টেক্সের বিরুদ্ধে জঙ্গি মদদ দেওয়ার অভিযোগ

June 04, 2017

সোয়েব কামাল,আল জাজিরা বাংলাঃ

জঙ্গিবাদে অস্ত্র ও অর্থসহায়তার অভিযোগ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জিম টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদের  বিরুদ্ধে জঙ্গী মদদ দেবার সরাসরি প্রমান পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে অবাক করা তথ্য। সেই ধারবাহিকতায় এবারে রহস্যজনক তথ্য বের হয়ে এসেছে দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ি জিম টেক্সের বিরুদ্ধে । কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ইতোমধে জঙ্গি মদদদাতা এবং অর্থের যোগান দাতাদের একটি তালিকা করেছে যেখানে জিম টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদের নাম সবার আগে । ব্যাবসায়ির তকমা লাগিয়ে দিব্যি গোপনে তাদের ধর্মের নামে নৈরাজ্যের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ইমরান আহমেদ । তার ব্যাপারে আল-জাজিরা বাংলার কাছে বিস্তর জঙ্গী মদদ দেবার সরাসরি তথ্য রয়েছে যা আগামি ইপোসডে প্রকাশ করা হবে ।

২৬ বছরের সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাট পাবেন সাংবাদিকরা

June 04, 2017

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২৬ বছরের সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাট পাবেন সাংবাদিকরা। ইতোমধ্যে রাজধানী ও জেলা শহরে ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগে নিয়েছে সরকার। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে দীর্ঘমেয়াদী সহজ কিস্তিতে এসব ফ্ল্যাট দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জেলায় ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ইউনিয়ন পর্যায়েও এ ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’ 

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে এ দুটি সংগঠনের নেতারা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএফইউজে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন ইউনিট ও ডিইউজের সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রায় সবাই আবাসন সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ও সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোপূর্বে বিভিন্ন প্রকল্পে সাংবাদিকদের প্লট প্রদান করা হয়েছে।’ কিন্তু বর্তমানে  প্লট দেয়ার চাইতে ফ্ল্যাট দেয়াটাই তিনি শ্রেয় মনে করেন।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারিভাবে ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। অন্যান্য পেশাজীবীদের পাশাপাশি এগুলোতে সাংবাদিকদের জন্যও কোটা রাখা হবে। বিভিন্ন মাপের ফ্ল্যাটে প্রথমে কিছু টাকা জমা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন সাংবাদিকরা।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা বা ঢাকার বাইরে যে টাকা বাড়ি ভাড়া দেন, এ টাকাই প্রতি মাসে কিস্তি দিয়ে একসময় ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন সবাই।’

 

মনোনয়ন ঝুুঁকিতে আওয়ামী লীগের যে ৮০ সংসদ সদস্য রয়েছে

June 04, 2017

রাজধানী ঢাকার ৩ সংসদ সদস্য, ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, ঢাকা ১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা ৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা সহ সারা দেশের সর্বমোট ৮০ জন সংসদ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয় ঝুঁকিতে রয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন বর্তমান দশম সংসদের সরকার দলীয় কমপক্ষে ৮০ জন এমপি। গোয়েন্দা সংস্থা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বোর্ড সূত্রে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যাদের মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন: শিবলী সাদিক (দিনাজপুর-৬), আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), মাহবুব আরা গিনি (গাইবান্ধা-২). ড. ইউনূস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), এমাজ উদ্দিন প্রমাণিক (নওগা-৪), ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক (রাজশাহী-৪), আব্দুল মজিদ মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৬), হাসিবুর স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৪), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), আব্দুর রউফ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১), ইসমত আরা সাদিক (যশোর-৬), এটিএম আব্দুল ওয়াহাব (মাগুরা-১), মীর শওকত আলী বাদশা (বাগেরহাট-২), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), আফম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), শওকত হাসানুর রহমান রিমন (বরগুণা-২), এ কে এম এ আওয়াল (সাইদুর রহমান) (পিরোজপুর-১) মাহবুবুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), তালকুদার মোহাম্মদ ইউনূস (বরিশাল-২), বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১), আমানুর রহমান রানা (টাঙ্গাইল-৩), খন্দকার আব্দুল বাতেন (টাঙ্গাইল-৬), আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-১), রেজাউল করিম হীরা (জামালপুর-৫), এ কে এম ফজলুল হক (শেরপুর-৩), মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), রেবেকা মমিন (নেত্রকোণা-৪), জাহিদ মালেকী (মানিকগঞ্জ-৩), সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (মুন্সিগঞ্জ-১), হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস মোল্লা (ঢাকা-১৬), রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু (নরসিংদী-৫), কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), কর্ণেল (অব.) শওকত আলী (শরিয়তপুর-২), মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), আবুল মাল আবদুল মুহিত (সিলেট-১), সাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), আবদুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), মো. ছায়েদুল হক (বি.বাড়িয়া-১), ফায়জুর রহমান (বি.বাড়িযা-৫), একেএম বাহাউদ্দিন(কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (চাঁদপুর-৫), রহিম উল্লাহ (ফেণী-৩), আয়েশা ফেরদৌস (নোয়াখালী-৬), মো. আবদুল্লাহ (লক্ষীপুর-৪), ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), আফসারুল আমীন (চট্টগ্রাম-১০), এম এ লতিফ (চট্টগ্রাম-১১), আব্দুর রহমান বদি (কক্সবাজার-৪)। 

উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। এমনকি দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‍গুরুত্বপূর্ণ জেলা গুলোতে সফর শুরু করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবেই শেখ হাসিনা আগামী ৪ মাস ব্যস্ত থাকবেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদকও বিবাদমান জেলাগুলোর তৃণমূলকে সংগঠিত কাজ শুরু করেছেন। তবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করেছেন কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতারা। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী বোর্ড।

আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলের বর্তমান সংসদের কমপক্ষে ৮০ জন সদস্য মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হতে পারেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের মাঠ জরিপ শুরু করেছেন, সেখানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে হেভিওয়েট প্রার্থীসহ শতাধিক জনের নামে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। যারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তাদের মধ্যে অনেকেই বয়সের কারণে বাদ পড়বেন। এছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল বিচ্ছিন্নতা এবং নিজের অবস্থান তৈরি করতে না পারা অনেক এমপিই বাদ পড়ার তালিকাতে আছেন।

Please reload

bottom of page